জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি আলু হিমাগারে (সংরক্ষণাগার) ঢুকে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ১২টার দিকে উপজেলার আয়মাপুর মোড়ের হাফিজার রহমান বীজ হিমাগার লিমিটেডে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাত আনুমানিক ১২টায় ২০-২৫ মুখোশ পরা ডাকাত হিমাগারের মূল গেটের নৈশপ্রহরীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমে অফিস রুমের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সিসি ক্যামেরা ও ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে।
পরে কয়েকজন শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর চেষ্টা করলে তারা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দল তাদের ব্যাপক মারধর করে। ডাকাত দল ওই শ্রমিকদের একটি আবদ্ধ রুমে আটকে রাখে। অপর দল হিমাগারের মেশিন রুমে ঢুকে ট্রান্সফরমার ভেঙে মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়।
হিমাগারের নৈশপ্রহরী আব্দুল করিম বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে দুজন লোক এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে গেট খুলে দিতে বলে। আমি গেট খুলে দিলে প্রায় ২০-২৫ জনের ডাকাত দল জোর করে স্টোরের ভেতরে ঢুকে পিস্তল বের করে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। পরে অন্য শ্রমিকদের ব্যাপক মারধর করে আহত করে চলে যায়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে আহতদের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে সাহা আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হিমাগারের ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, সকালে মালিকপক্ষ আমাকে ডাকাতির ঘটনা জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে ক্ষতির পরিমাণ আমরা হিসাব করিনি। পরবর্তীতে ক্ষতির পরিমাণ আপনাদের জানানো হবে।
হিমাগার মালিক আশরাফ তালুকদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে রয়েছেন। হিমাগারটির মালিক পরিবারের অভিযোগ, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
ক্ষেতলাল থানার ওসি মশিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন