বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গোপনে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষক

কাটা গাছ টুকরো টুকরো করে রাখা হয়। ছবি : কালবেলা
কাটা গাছ টুকরো টুকরো করে রাখা হয়। ছবি : কালবেলা

গোপনে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিজ হেফাজতে রেখেছেন প্রধান শিক্ষক মোতালেব মিয়া। সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বিষয়ে অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) লায়লা জেরিন আক্তার।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বধূঠাকুরানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে সরকরি এ প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান একটি মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক মোতালেব মিয়ার তত্ত্বাবধানে কাটা গাছটি বিভিন্ন সাইজে টুকরো করে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।

গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রধান শিক্ষক মোতালেব মিয়ার নির্দেশনাতেই তারা গাছ কেটেছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও জমিদাতা আব্দুল জব্বার বলেন, প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানাননি বা এ বিষয়ে কোনো রেজ্যুলেশনে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। ম্যানেজিং কমিটির সভা কিংবা অনুমোদন ছাড়া কীভাবে তিনি গাছটি কেটেছেন তা আমার জানা নেই।

বধূঠাকুরানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোতালেব মিয়া গাছ কাটার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, বিদ্যালয়ের চেয়ার তৈরির জন্য গাছগুলো কাটার আলোচনা হয়েছিল। শুক্রবার ও শনিবার স্কুল বন্ধ থাকার কারণে কিছু না জানিয়ে গাছ কেটেছে শ্রমিকরা। রোববার স্কুলে এসে দেখি গাছটি কাটা হয়েছে। পরে আমি কাটা গাছ আমার হেফাজতে রেখেছি। এই গাছ দিয়ে স্কুলের চেয়ার তৈরি করা হবে।

গাছ কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজ্যুলেশন লেখা আছে কিন্তু কমিটির কারো স্বাক্ষর নিতে পারিনি । ক্লাস্টারের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে (এটিও) অবহিত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) আরিফুজ্জামান মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, আমি গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে বলাও হয়নি, তবে বিষয়টি আমি এখন জানলাম। খোঁজ নিয়ে দেখব।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) লায়লা জেরিন আক্তার কালবেলাকে বলেন, আমার শাশুড়ি মৃত্যুবরণ করেছে, আমি সেখানে এসেছি। আমি গাছ কাটার খবর জানি না। যদি রেজ্যুলেশন ছাড়া গাছ কাটা হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়েই এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে’

তাবলিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের নৃশংস ঘটনায় নিন্দা ইনসানিয়াতের

রূপায়ণ প্রপার্টি এক্সপো’র উদ্বোধন 

ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী : অর্থ উপদেষ্টা

সবাই যদি চায় নির্বাচন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার করবে : নৌ উপদেষ্টা

৪ দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শিশু বিশেষজ্ঞদের অবস্থান কর্মসূচি

আ.লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না নাগরিক কমিটি

খাস জায়গা দখল করে আ.লীগ নেতার ভবন নির্মাণ

অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশে ভারতীয় চিকিৎসকরা কাজ করছে : ডা. রফিক

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

১০

২০তম বিসিএস ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

১১

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে নিহত ৪

১২

সীমান্ত থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার, শরীরে ক্ষতচিহ্ন

১৩

বাকৃবিতে শিক্ষককে মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ

১৪

গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল যেসব সংস্থা

১৫

‘জলবায়ু বাজেটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ 

১৬

ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে নিহত চার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

ভিক্ষা দিলেই যেতে হবে জেলে

১৮

রাজশাহীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, বাস চলাচল বন্ধ

১৯

জীবনের ‘পাগলা হাওয়া’

২০
X