ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস এবং তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ইলিয়াছ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া তার স্বামীর জায়গা দখলের অভিযোগ করেন। আর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মো. ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই সুপ্রিয়া উদ্দেশ্যেমূলক সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
রোববার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার আপন শাশুড়ি, ৫ ননদ, চাচাশ্বশুর ও চাচাশ্বশুরের ওয়ারিশদের কাছ থেকে তিনি ক্রয়সূত্রে সাফকবলা দলিলমূলে ২ একর ১৭ শতাংশ ৩৭ পয়েন্ট জায়গার মালিক হয়েছেন। এরপর থেকে ১৪ বছর ধরে ওই জায়গার ভোগদখল করছেন। সেখানে ঘর ও দোকানঘর নির্মাণ করা ছাড়াও পুকুরে মাছ চাষ করছেন এবং সরকারকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছেন। ফলে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তারা আরও বলেন, সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া আওয়ামী লীগ শাসনামলে সাবেক আইনমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতাদের দিয়ে কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস ও তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন বাড়িঘর ছাড়া করে রাখেন। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া গত ৭ আগস্টের পর থেকে আমাদের অত্যাচারে বসতবাড়িতে থাকতে পারেন না বলেও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ তার বসতবাড়ির বিল্ডিং দীর্ঘদিন ধরে সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া রয়েছে।
মুহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আমি কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কসবা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, কসবা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাচিত মেয়র ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার আপন বড় মামা মো. মোশারফ হোসেন ইকবাল। ১৯৯৭ সালে কসবা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ২০১১ সালের কসবা পৌরসভার মেয়র পদে আমার কাছে বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত হন। তারই আক্রোশে এবং আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তার আপন বোনের মেয়ে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়াকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে সমাজে ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া যে জমি নিয়ে অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া অনুমতি ছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে আমার ছবি দিয়ে ব্যানার করেছেন এবং কুৎসিৎ ভাষায় মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য রেখেছেন। আমি এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন