পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে কনকনে হিম ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। তবে তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান।
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিম হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিম বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
অপরদিকে, হিম বাতাস বয়ে যাওয়ায় এখনও সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান কালবেলাকে জানান, গত দুদিন পর আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। রোববার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ, যা গতকাল তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
মন্তব্য করুন