ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘গুজবকাণ্ডের’ এক সপ্তাহ পর ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের বাস বাংলাদেশে এসেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে বাসটি। বাসে দুদেশের মিলিয়ে ২৪ জন যাত্রী ছিল।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর শ্যামলী পরিবহনের ওই বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ভারতের কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটিতে হামলা হয়েছে। ভারতীয় যাত্রীদের গালমন্দ করা হয়। তবে একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
গত ১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাসের চালক মো. আসাদুল হক ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কারো কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে, কথাও হয়নি বলে তিনি জানান। অটোরিকশা চাপা খাওয়ার ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি গত ৩০ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উলটোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এ সময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত পণ্যবাহী অটোরিকশা বাসের সঙ্গে চাপা খেয়ে সড়ক বিভাজকজে আটকা পড়ে। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশাচালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভিসা জটিলতা আর নানা অস্থিরতার কারণে যাত্রী না থাকায় শ্যামলী বাস কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে দুদিন বাস চালানোর চিন্তা করছেন। যাদের মাল্টিপল ভিসা রয়েছে, কেবল তারাই এখন এই বাসে যাত্রা করতে পারবেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকেও হাতে গোনা লোকজন এসেছেন এই দিন। আগরতলায় যাদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন কেবল তারাই আসাতে পারছেন। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লিগামী যেসব বাংলাদেশি নাগরিক আগরতলা বিমানবন্দরে বিমান ধরতে আগরতলায় এসে থাকেন তারাও কেউ নেই। ফলে আগরতলা স্থলবন্দরের অটোচালকরাও এখন ফেরার অপেক্ষায় বসা।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কালবেলাকে জানান, ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর বাস নিয়ে আগরতলা থেকে এসেছেন। যাত্রাপথে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। বাসে ২৪ জন যাত্রী রয়েছে।
মন্তব্য করুন