কক্সবাজারের পেকুয়ায় ফসলি জমির ওপরের স্তর (টপ সয়েল) লুটের ধুম পড়েছে সবকটি ইউনিয়নে। এতে উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষিজমি। বিপর্যয় ঘটছে ফসল উৎপাদনে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ঢালারমুখ (রমিজপাড়া) এলাকায় মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে জমির ওপরি অংশ কেটে ডাম্পার ও ট্রাকে ভর্তি করছে একটি মাটিখেকো চক্র।
স্থানীয়দের কথা বলে জানা যায়, গত ১০ দিন ধরে জমির ওপরি মাটি লুটের মহোৎসব চলছে। প্রশাসনকে কয়েকবার বলা হলেও বন্ধ হয়নি এ কার্যক্রম। অনেকটা বীরদর্পে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এসব মাটি ইটভাটা, পুকুর ও ভিটেবাড়ি ভরাট করার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। অনেকটা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিঘ্নে মাটি কেটে নিচ্ছে দেদার। তারা আরও জানান, প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস চলে ওপরের স্তরের মাটি কাটার উৎসব। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক্সক্যাভেটর দিয়ে চক্রটি মাটি কেটে পাচার করে থাকে। ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, জমির ওপরি অংশ হলো জমির প্রাণ। জমির ওপরের ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত মাটিকে জমির উর্বর অংশ বলা হয়। মাটির এই অংশই হচ্ছে মাটির মূল জৈব শক্তি, যা ভালো ও বেশি ফসল উৎপাদনে সহায়ক।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল কালবেলাকে বলেন, টপ সয়েল কেটে ফেললে জমিতে ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটবে। টপ সয়েল কেটে নেওয়া হলে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর জমির ফলন ভালো হবে না। ফসল উৎপাদন কম হলে খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করব।
মন্তব্য করুন