সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টাকালে চাকরিচ্যুত কনস্টেবলসহ আন্তঃডাকাত দলের ৭ জনকে আটক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-১২ সদস্যরা। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, পুলিশের হ্যান্ডকাফ, ভুয়া পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর রাতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার বামনকুমার গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মো. জমির খান (৩৯), ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার বিজিডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম মুন্সির ছেলে চাকরিচ্যুত কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান (৪৪), রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ থানার কাঁটাখালি বটতলা গ্রামের মৃত মোতালেব ওরফে মাসুদ শেখের ছেলে মো. জহুরুল শেখ সুমন (৩৩), কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ধনঞ্জয় গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. মিজানুর রহমান মিন্টু (২৭), ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার কাশিনাথপুর গ্রামের মীর নায়েব আলীর ছেলে মীর সোহেল হোসেন (২৬), যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার উত্তর দেউলি গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রাজু (৩১) ও গোপালগঞ্জ জেলা সদরের নকুরিরচর গ্রামের মৃত আফতাব মোল্লার ছেলে আইয়ুব মোল্লা (৫২)।
আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা হলেও ঢাকার আশপাশে বসবাস করে এবং সবাই একত্রিত হয়ে ডাকাতি কার্যকলাপে অংশ নেয়।
শুক্রবার দুপুরের দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার ভোররাতে সয়দাবাদ গোলচত্বর এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি চলাকালে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস থামানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাইক্রোবাসটি কৌশলে চেকপোস্ট পার হওয়ার চেষ্টাকালে আটক করা হয়। এ সময় ওই ৭ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে পুলিশের হ্যান্ডকাফ, ভুয়া পরিচিতি কার্ড, জুতা, ট্র্যাক স্যুট, জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছে।
মন্তব্য করুন