বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি স্পিডবোট ডুবে গেছে। এ ঘটনায় নদীতে ডুবে স্পিডবোটের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া চার যাত্রী নিখোঁজ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসা ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ট্রলারটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা। তবে ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা দেখা যায়নি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের।
নিহত যাত্রীর নাম মো. জারিস (৪৫)। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত জারিসকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রলার এবং স্পিডবোটের সংঘর্ষে স্পিডবোটটি কীর্তনখোলা নদীতে তলিয়ে যায়। তখন সাঁতরে বেশ কয়েকজন যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও চারজন নদীতে তলিয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নৌ থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, বরিশাল ডিসি ঘাট থেকে ১০ যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। চরমোনাই এলাকা সংলগ্ন নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি নদীতে তলিয়ে যায়। চালক ও যাত্রীদের মধ্যে মোট চারজন নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে। তবে তথ্য এখনো যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পরও তাদের খোঁজে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে যেতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ ফায়ার সার্ভিসকে তথ্য দেয়নি।
মন্তব্য করুন