ফরিদপুরের সদরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় অধিপত্যকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস এবং ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়নের বাড়ইর হাট বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামানের প্রাইভেটকারের চালক জিন্নাকে মারধর করে সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লালের সমর্থকরা।
এর জের ধরে দুপুর আড়াইটার দিকে আক্তারুজ্জামানের সমর্থকরা কৃষ্ণপুর বাজারের তরকারি হাট ও গরু হাট এলাকায় বিল্লালের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় বাজারের ওই দুই অংশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালেও সংঘর্ষের একপর্যায়ে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দও শোনা যায়। খবর পেয়ে সদরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে দুজনকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৭.৯২ এম এম গুলির দুটি খোসা এবং একটি না ফোটা গুলি জব্দ করেছে।
কৃষ্ণপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বলেন, আমার গাড়ির চালক জিন্নাকে বিল্লালের লোকজন পিটিয়ে আহত করেন।
বিল্লাল ফকির সম্ভবত আমাকে বেইজ্জতি করার জন্য আমার গাড়ির চালককে পিটিয়ে আহত করেছে মন্তব্য করে আক্তারুজ্জামান আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে এ এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে মারধোরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুপুরে কৃষ্ণপুর বাজারের যাত্রাবাড়ী অংশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন।
বিল্লাল ফকির বলেন, কারা জিন্নাকে মেরেছে কিংবা পরে কৃষ্ণপুর বাজারে কী ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানা নেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষ সদরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন