সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মুনসুর আহমেদ নামে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা আব্দুল আলিম নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে অভিযুক্ত মুনসুর আহমেদকে আটক করেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিহাবুল ইসলাম সিহাব।
বুধহাটা ইউপি সদস্য হাফেজ রবিউল ইসলাম ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার শেষ বিকেলে শিশুটি এলাকার পুকুরে বরশি দিয়ে মাছ ধরছিল। এ সময় অভিযুক্ত মনসুর আহমেদ পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আত্মচিৎকারে শিশুটিকে ঘরের বাইরে বের করে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এ সময় শিশুটি অনেক কষ্ট করে বাড়িতে ফিরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে বুধহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিহাবুল ইসলাম সিহাব জানান, আব্দুল আলিম আমাদের কাছে মৌখিকভাবে ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন। আমরা সে মোতাবেক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনসুরকে আটক করেছি। ভিকটিমকে দেখতে নিজেই সদর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যাণ সংগঠন আশাশুনি শাখার সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত (অনা.) লেফটেন্যান্ট শফিকুর রহমান জানান, মুনসুর আহমেদ একজন চরিত্রহীন লম্পট ব্যক্তি, তিনি অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যাণ সংগঠনের কোনো সদস্য নয়। তাকে তার নানাবিধ অপকর্মের জন্য কখনই সদস্যও করা হয়নি।
এ বিষয়ে আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন, ঘটনা সত্য। আহত অবস্থায় শিশু মেয়েটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটির পক্ষ থেকে তার পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মন্তব্য করুন