নরসিংদীর মনোহরদীতে বাবা ও ছেলেকে হত্যা করে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে যান মো. সাইফুল ইসলাম। পরে কারাগার থেকে পালিয়ে পুনরায় তিনি বাদীকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কোচেরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে করেন স্বামী-সন্তান হত্যা মামলার বাদী রেনুজা বেগম।
তিনি জানান, ২০২২ সালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী শাহজাহানের স্ত্রী নাছিমা বেগম, তার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম এবং নাছিমার বোন তাসলিমা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির পাশে রেনুজা বেগমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন এবং ছেলে রাকিবকে গুরুতর আহত করে। পরে ওই দিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাকিবের মৃত্যু হয়। এর ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবের বাবা সিরাজ উদ্দিনও মারা যান।
তিনি জানান, এ ঘটনায় রেনুজা বেগম বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় হত্যা মামলা করার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। সাত মাস কারাভোগের পর নাছিমা এবং তাসলিমা জামিনে বের হলেও আটক থাকে সাইফুল।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের গত ১৯ জুলাই নরসিংদী কারাগার ভেঙে ফেলা হলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাইফুল। এখনো সে আত্মসমর্পণ করেনি। গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে সাইফুল, তার মা নাছিমা এবং খালা তাসলিমা রেনুজাকে একা পেয়ে মামলা তুলে নিতে বলে। এ সময় তিনি অস্বীকার করায় তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরদিন তিনি মনোহরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তিনি আরও জানান, জামিনে বের হয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে আমাকে ও হত্যা মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। পরবর্তীতে আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেয়।
রেনুজা বেগম সংবাদ সম্মেলনে আসামি সাইফুল ও তার মা-খালাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
মনোহরদী থানার ওসি মো. জুয়েল হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন