নওগাঁর নিয়ামতপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রায়হান আলীর মরদেহ দাফনের ১৩৩ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আদালতের নির্দেশে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রাম থেকে মরদেহটি তোলা হয়। রায়হান আলী ওই গ্রামের মামুন সরদারের ছেলে।
মরদেহ তোলার সময় উপজেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই দুপুরে সড়কে গুলিবিদ্ধ হন রায়হান আলী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সরকারি শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গাজীপুর নিয়ে যায়। সেখানে রায়হান আলীর মৃত্যু হয়। সেদিন রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে সে সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামুন সরদার গত ১০ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটনের আওতাধীন গাছা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গাছা থানার এসআই লাবু মিয়া জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহটি কবর থেকে তুলতে আদালত নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে রায়হান আলীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন