কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হঠাৎ করেই বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তবে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, হঠাৎ করে উপজেলার থানা হাট-বাজারের বড় বড় গোলামালের দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ না থাকায় তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক লিটার বোতলজাত তেলের মূল্য ১৬৭ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৫-১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানে ভেদে ২০০ করেও নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই ধারণা করছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল খুলে খোলাভাবে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিনের ন্যায় বাজারে গেছেন সবুজপাড়া এলাকার সাওরাত হোসেন। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পর সয়াবিন তেল কিনতে গেলে বোতলজাত তেল না পাওয়ায় খোলা তেল কিনে বাড়িতে ফিরেন। তিনি জানান, হঠাৎ করেই বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও। বাজার ঠিকভাবে মনিটরিং করলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অন্য এক ক্রেতা আলমগীর হোসাইন বলেন, বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গেলে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে খোলা তেল কিনতে হচ্ছে।
দোকানের এক কর্মচারী জানান, প্রায় ৭ দিন বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ না থাকায় এখন খোলা তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী তপন কুমার জানান, বোতলজাত তেল সরবরাহ না থাকায় খোলা তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
মন্তব্য করুন