সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতাকে পেটানোর অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে শনিবার (৩০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মাইক্রোস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হামিদুল কবির বাবু শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত শেখ নাজমুল হক শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
ভুক্তভোগী কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুল কবির বাবু বলেন, ‘বিগত ১৭ বৎসর আওয়ামী লীগের দোসর ও তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা-মামলার শিকার হয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করেছি। এরই মধ্যে এলাকার কিছু সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছি। তবে শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাজমুল হক তার কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ফোন করে শ্যামনগর সদরে মাইক্রোস্ট্যান্ডে হোসেন আলীর চায়ের দোকানে আসতে বলেন। সেখানে গেলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন যুবদল নেতা। এক পর্যায়ে চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেওয়ার পরও নাজমুলের সঙ্গে থাকা উপজেলা যুবদলের সদস্য শেখ আলমসহ ১০-১৫ জন উপর্যপুরি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা শেখ নাজমুল হক বলেন, ‘হামিদুল কবির বাবু সঙ্গে ওয়াটার প্লান্ট নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে সেদিন তাকে ডাকা হয়। তবে সেখানে কোনো মারধেরের ঘটনা ঘটেনি। একইসঙ্গে কোনো ধরনের চাঁদা দাবি করা হয়নি।’
শ্যামনগর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম দুলু বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে আমি গত এক সপ্তাহে ধরে অসুস্থ থাকার কারণে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা খবর নিতে পারিনি।’
শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল অহেদ বলেন, ‘বুধবার শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির নেতা হামিদুল কবির বাবুকে মারধরের বিষয়টি জেনেছি। ঘটনার পর বাবু আমার কাছে এসে বিষয়টি জানায়। তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি জানা নেই।’
মন্তব্য করুন