কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইসকনের উপাসনালয় নামহট্ট সংঘে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রণয় কর্মকার নামে উপাসনালয়ের এক ভক্ত বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার পর শুক্রবার রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে ছাত্রলীগের স্থানীয় তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভৈরব পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান প্রান্ত (২৮), তার ভাই শান্ত (২২) এবং ছাত্রলীগ কর্মী সানজিত (২২)।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভৈরব থানার ওসি মো. শাহীন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রানীবাজার হলুদপট্টিতে ‘শ্রীশ্রী হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ’ নামে একটি মন্দির আছে। বাদী প্রণয় সংঘের একজন সদস্য। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রণয়সহ কয়েকজন সদস্য মন্দির পরিচ্ছন্ন করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাজ শেষে তালা দিয়ে তারা ফিরে আসেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে হামলার কথা শুনে মন্দিরে গিয়ে দেখেন, দরজা ও তালা ভাঙা। ভেতরে গিয়ে দেখতে পান, মন্দিরে রক্ষিত ভগবানের ছয়টি ছবি, শঙ্খ, আচমনপাত্র, মৃদঙ্গ, সোফা, চেয়ার, টেবিল, ঘড়ি ও ঠাকুরের সিংহাসন ভাঙচুর করা হয়েছে। সবই মাটিতে পড়ে আছে। মন্দিরের বাক্সে রক্ষিত ঘণ্টা, কাঁসি, করতাল, ঝম্প চুরি করে নিয়ে গেছে। এতে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
গতকাল সকালে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, যারা হামলা-ভাঙচুর করেছে সেসব অপরাধীদের সিসি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে ঘটনার পরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন, মেজর সানজিদুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান আহমেদ রাফি, ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন