নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছেন মো. হাসান নামে এক যুবলীগ নেতা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসান ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মো. তারেক হোসেন (১৮), একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. শাকিব (২৪) ও গোপালপুর ইউনিয়নের মহবুল্যাপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে বাহার উদ্দিন (২৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা হাসান গত ৪-৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পান। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে উপজেলার গোপালপুরের গাড়ি স্ট্যান্ড ও বাজার দখলের হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বহিরাগতদের নিয়ে গোপালপুর বাজার এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মহড়া দেয়। এ সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের পাথর নিক্ষেপ করে ও মারধর করে একটি দেশীয় এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন বলেন, হাসান মোটরসাইকেল নিয়ে গোপালপুর বাজারে মহড়া দেওয়া সময় গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে আমি তাদের মুখোমুখি পড়ে যাই। এ সময় তারা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এর আগে, গোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মহসিনকে কোমরে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের মারধর করে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় এলাকাবাসী তিনজনকে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটকৃতদের মধ্যে বাহার গুরুতর আহত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন