নেত্রকোনায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রাসেল মিয়াকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।
হত্যায় সহযোগিতার দায়ে নিহতের দেবর হিমেল মিয়াকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর শাশুড়ি মাজেদা আক্তারকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা প্রদান করেছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চরসিংধা গ্রামের আ. হাসিমের ছেলে মো. রাসেল মিয়া, হিমেল মিয়া ও স্ত্রী মাজেদা আক্তার। নিহত গৃহবধূ তমালিকা আক্তার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ভাটিপাড়া গ্রামের মো. রহিজ মিয়ার মেয়ে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে রাসেলের সঙ্গে তমালিকার বিয়ে হয়। এর আগে আসামি রাসেল তার আগের স্ত্রী রোকেয়াকে তালাক দিয়ে তমালিকাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই রাসেল স্ত্রী রোকেয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন।
এই নিয়ে তমালিকার সঙ্গে রাসেলের ঝগড়া হয়। রাসেল তাকে মারপিট করায় তমালিকা বাপের বাড়ি চলে যান। পরে গ্রামের মাতব্বরদের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে তমালিকাকে আবার স্বামীর গৃহে পাঠান। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে খাওয়ার পর তমালিকা ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরদিন তার স্বামীর ঘরের বারান্দায় তমালিকার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় তমালিকা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনায় তমালিকার বাবা রহিজ মিয়া বাদী হয়ে ১০ জানুয়ারি বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন