জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা যাতে বিএনপির কোনো অঙ্গসংগঠনে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ায় শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মিসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
যৌথ কর্মিসভার প্রধান আলোচক ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল।
এ সভায় রাজিব আহসান বলেন, অনেক রক্ত, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়েছে এ দেশের ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে কাজ করার পাশাপাশি পতিত স্বৈরাচার যাতে ফেরত না আসতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, দেশের ভেতর এবং বাইর থেকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার গত ১৬ বছরে অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম-হত্যা করেছে। পুলিশকে ব্যবহার করেও তারা হত্যা করেছে। গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে যেভাবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- ভয় দেখিয়ে নয়; উদারতা দিয়ে, ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে হবে। আমাদের সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। মানুষ পছন্দ করে না, এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন অপকৌশল করছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকবে হবে। কোনোভাবেই বিজয় হাতছাড়া করা যাবে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্ররাজনীতি ধ্বংস করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রদল সামনে তাদের এই রাজনীতির ধারা পরিবর্তন করবে।
কর্মিসভায় বক্তব্য দেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামলী আকতার, বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ। শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কী, শহর ছাত্রদলের সভাপতি এসএম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিমন।
মন্তব্য করুন