বিনা সুদে ঋণের আশ্বাস দিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় লোকজন নিয়ে গিয়েছিলেন দবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। দবির হোসেন ও তার স্ত্রী চামিলী আক্তার এবং হাসিন আক্তার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০০ সহজ সরল লোককে একই লোভে শাহবাগে পাঠায়।
এরপর শাহবাগ থেকে বাড়ি ফিরে দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা দবির হোসেনসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে সকালে বিনা সুদে ঋণের আশ্বাস দিয়ে সহজ সরল মানুষদের রাজধানীর শাহবাগে নিয়ে গিয়েছিলেন দবির হোসেন। পরে সেখানে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে সুযোগ বুঝে কোনোভাবে মানিকগঞ্জ চলে আসেন অসহায় সেসব লোকজন।
দবিরের বাড়ি ঘেরাও করা রোকসানা আক্তার নামে নারী বলেন, আমাগো বিনা সুদে ঋণ দিব কইয়া ঢাকায় নিয়া গেছে। আমরা তো জানি না ওইহানে আন্দোলন হইবো। ঢাকায় যাওয়ার পরই দেখি মারামারি হইতাছে। আমাগো বাসে ওইঠা কয়েকজনকে লাঠি দিয়া বারিও দিছে। টাকা তো বড় কথা না বাঁইচা বাড়ি আসতে পারছি এতেই শুকরিয়া জানান।
ভুক্তভোগী হেলেনা বেগম জানান, সুদমুক্ত টাকা দেবে বলে দবির, হাসিনা ও চামিলী আমাদের ঢাকা পাঠায়। ঋণ নেওয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দবিরের অফিসে দিয়ে যাই। এ সময় আমাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেয় তারা। তিনি জানান, আমরা প্রায় ৩০০ জন ৬টি বাসে শাহবাগে গিয়েছিলাম।
আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, আমরা শাহবাগে নামার পর লোকজন আমাদের মারধর করে। পুলিশ আমাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেয়। পরে আমরা চলে আসি।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আমানুল্লাহ বলেন, প্রতারক দবির হোসেন, হাসিনা আক্তার ও চামিলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন