গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ধানবীজ কিনে প্রতারিত কৃষক

নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম ধানবীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ছবি : কালবেলা
নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম ধানবীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ছবি : কালবেলা

ভেজাল ‘ব্রি ধান-৩৯ জাতে’র ধানবীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম। মৌসুম শেষ হলেও তার ১০ বিঘার ধান এখন কাঁচা রয়ে গেছে। ধান পুরু না হয়ে ধীরে ধীরে শিষগুলো চিটা হয়ে যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মাঝপাড়া বিলে কৃষক শফিকুলের ওই ধানের জমি। এ ঘটনায় তিনি প্রতিকার চেয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই বীজ ভান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

কৃষক শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারের ‘রহমান বীজ ভান্ডার’ থেকে ব্রি ধান-৩৯ জাতের ধানবীজ কিনেছি। পাশের জমিগুলোর লাগানো একই জাতের ধান কাটা শেষের পথে। অথচ আমার ১০ বিঘার জমিতে ১২০ দিন মেয়াদি এই ধান পাকছে না। কিছু গাছে শিষ এলেও তা চিটা হয়ে যাচ্ছে। ব্রি ধান-৩৯ জাতের কথা বলে মিশ্রজাতের বীজ দিয়ে প্রতারণা করেন। এ জন্য আমি বীজ ভান্ডারের বিচার দাবি করছি।

কৃষক শফিকুলের বাবা মোজাহার আলী বলেন, ‘১০ বিঘা জমির জন্য বীজ ভান্ডার থেকে ব্রি ধান-৩৯ জাতের ৫২ কেজি বীজ কিনেছি। এর মধ্যে বিএডিসির ১০ কেজির দুই বস্তা ও রহমান বীজ ভান্ডারের নিজস্ব মোড়কের ১৬ প্যাকেট বীজ ছিল। বীজ বপন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রতি বিঘায় অন্তত ১৩ হাজার টাকা করে ১০ বিঘায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঠিকমতো ফলন হলে ১০ বিঘায় পেতাম ২০ মণ হারে অন্তত ২০০ মণ ধান। বর্তমান যে অবস্থা, ধান তো দূরে, কাটার খরচও ওঠা দায়।’

এদিকে ধান কাটতে না পেরে ওই ১০ বিঘায় রবিশস্য আবাদও করতে পারছি না। আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রহমান বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, ‘কৃষক শফিকুলের কাছে বিএডিসির ব্রি ধান-৩৯ জাতের ৫২ কেজি ধানবীজ বিক্রি করেছি। তা ছাড়া আমার প্রতিষ্ঠানের নামে মোড়কীকরণ করে যে বীজ বিক্রি করেছি, সেগুলোও বিএডিসির। মূলত চলতি মৌসুমে বিএডিসির ব্রি ধান-৩৯ জাতের বীজে ভেজাল হওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে আমার কোনো হাত নেই।’

গুরুদাসপুর ইউএনও সালমা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কৃষি অফিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ব্রি ধান-৩৯ জাতের ধানবীজ কিনে কৃষক শফিকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বিএডিসির ধানবীজ রহমান বীজ ভান্ডারের নিজস্ব মোড়কে বিক্রির সুযোগ নেই। বীজ কিনে কৃষক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুরাইন রণক্ষেত্র, অবরোধকারীদের কয়েকজন আটক

রাশিয়া শান্তি চায় না, এবার জবাব দিতে হবে : বিশ্বকে জেলেনস্কি

মাছ ধরার নৌকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনের ধাক্কা

বেঁচে ফিরব আশা ক‌রিনি

পানের বরজে গাঁজা গাছ

ব্যাংককে রাফসান-জেফার, উড়ো প্রেমের গুঞ্জন (ভিডিও)

জনবল নিয়োগ নিচ্ছে নিটল মটরস, কর্মস্থল ঢাকায়

পাত্র খুঁজছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মেহউইশ হায়াত (ভিডিও)

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

৪২ টাকায় কেনা কলার চিত্রকর্ম ৭২ কোটিতে বিক্রি

১০

এবার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নারী বেছে নিলেন ট্রাম্প

১১

ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা পার

১২

বিচ্ছেদের পর এই প্রথম এআর রাহমানের পোস্ট

১৩

লঘুচাপের শঙ্কা, এরপরই জেঁকে বসবে শীত

১৪

রংপুর জিলা স্কুল মাঠ নয়, মাহিগঞ্জ কলেজে হচ্ছে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ

১৫

ঢাকা লিগে নিষিদ্ধ ৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জন

১৬

মালয়েশিয়ায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

১৭

জীবননগরে সাবেক পৌর মেয়র গ্রেপ্তার

১৮

অ্যান্টিগায় মাঠে নামলেই রেকর্ড করবেন মিরাজ

১৯

ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আলালের

২০
X