কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের

ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ছবি : কালবেলা
ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ছবি : কালবেলা

শীতের আগমনে কদর বেড়েছে লেপ, তোশক ও জাজিমের। এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। কেউ নগদ টাকায় আগে থেকে তৈরি করাগুলো কিনে নিচ্ছেন, কেউ বানানোর জন্য অর্ডার দিচ্ছেন। অনেকে আবার পুরোনো লেপ-তোশক মেরামত করাচ্ছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কলাপাড়া পৌর বাজার, পাখিমারা, মহিপুরসহ বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় জমেছে। দোকানিরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারিগররা তাদের নিপুণ হাতে সুই সুতো নিয়ে করছেন কাজ, তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোশক-জাজিম। এ বাজারে লেপ-তোশক তৈরির ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মযজ্ঞ চলছে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ বছর বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশক তৈরির উপকরণের খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি গজ লেপ তৈরির কাপড়ের দাম ৪৫-৫০ টাকা, তোশকের প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৪৬-৪৮ টাকা এবং প্রতি গজ জাজিম তৈরির কাপড়ের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা করে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কার্পাস তুলার দাম ১৮০-২০০ টাকা, পোলি তুলার দাম ১২০-১৩০ টাকা, উলের দাম ৫৫-৬০ টাকা ও প্রতি কেজি জুটের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা করে। এ বছর এক পিস রেডিমেট লেপ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২৭০০ টাকার মধ্যে, তোশক বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে এবং জাজিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকা থেকে ৪২০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বালিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।

সুমনা বেডিং স্টোরের কারিগর জিয়াউদ্দিন বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর থেকে মহিপুরে লেপ-তোশক তৈরির কাজ করি। আমরা ২ জন মিলে প্রতিদিন গড়ে ১০টি লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার শেষ করতে পারি।

কারিগর সাকিব বলেন, আমি ১০ বছর থেকে এ কাজ করে আসছি। প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের আগে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের লেপ-তোশক তৈরির কাজ চলে।

কারিগররা জানান, একটি লেপ তৈরি করলে আকারভেদে ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং তোশক তৈরি করতে পারলে প্রতিজন ১৫০-৩০০ টাকা মজুরি পান।

ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, এবারে বেশি শীত হতে পারে। তাই আগে লেপ তৈরির জন্য দোকানে গিয়ে অর্ডার দিচ্ছি। আমরা গরিব মানুষ। কম্বলের যে দাম সেটা কেনার সামর্থ্য নাই। এ কারণে অল্প টাকা দিয়ে লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

আরেক ক্রেতা মো. ইউসুফ বলেন, দিনের বেলায় শীত অনুভূত না হলেও রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ে। কাঁথা দিয়ে শীত নিবারণ হয় না। এ জন্য পরিবারের সদস্যদের জন্য ২টি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি। এতে মোট খরচ পড়েছে ৫ হাজার ২০০ টাকা।

এ ব্যাপারে মহিপুর বাজারের ব্যবসায়ী বেল্লাল বেডিং স্টোরের মালিক মো. বেল্লাল তালুকদার বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ বাড়ছে। আমাদের দোকানে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেশ কাজের চাপ থাকে। এ সময়টায় ক্রেতারা লেপ-তোশকের অর্ডার দেন, আর আমরা যত্নসহকারে তা সরবরাহ করে থাকি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ম্যাচ ড্র করা মেসির কাছে অগ্রহণযোগ্য

হারপুন লিক্যুইডের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন 

নিলামের আগে আইপিএলের দলগুলোকে যে বার্তা দিল বিসিবি

বগুড়ায় অস্ত্রসহ কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

রংপুরে বীজ আলুর সংকট, দিশাহারা কৃষক

সব যোগ্যতা থাকার পরও জিয়ার নাম থাকায় মেলেনি এমপিও

অতিরিক্ত ওজন কমাবে শীতের যেসব সবজি

রণক্ষেত্র জুরাইন, অবরোধকারীদের কয়েকজন আটক

রাশিয়া শান্তি চায় না, এবার জবাব দিতে হবে : বিশ্বকে জেলেনস্কি

মাছ ধরার নৌকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনের ধাক্কা

১০

বেঁচে ফিরব আশা ক‌রিনি

১১

পানের বরজে গাঁজা গাছ

১২

ব্যাংককে রাফসান-জেফার, উড়ো প্রেমের গুঞ্জন (ভিডিও)

১৩

জনবল নিয়োগ নিচ্ছে নিটল মটরস, কর্মস্থল ঢাকায়

১৪

পাত্র খুঁজছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মেহউইশ হায়াত (ভিডিও)

১৫

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

১৬

৪২ টাকায় কেনা কলার চিত্রকর্ম ৭২ কোটিতে বিক্রি

১৭

এবার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নারী বেছে নিলেন ট্রাম্প

১৮

ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা পার

১৯

বিচ্ছেদের পর এই প্রথম এআর রহমানের পোস্ট

২০
X