চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ৪টার দিকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন মো. কামাল (২০), শাহাদাত হোসেন শান্ত (১৯), আব্দুল হান্নান (৪০) ও সোহেল (৩৬)।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রদল নিজেরাই আসন চেয়েছিল। তবে সেটি না হওয়ায় তারা ছাত্রদের ওপর হামলা করে।
এ দিকে ছাত্রদলের দাবি, ছাত্রশিবিরের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন। আবার শিবির দাবি করে বলেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দুই দিন ধরে ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের বৈধ তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ১৫ বছর পর গতকাল বুধবার দুটি ছাত্রাবাসের জন্য নির্বাচিত ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক প্রশাসন।
শিক্ষার্থী মোহিবুল্লা ফয়েজ কালবেলাকে বলেন, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল হল খুলে দেওয়ার। দীর্ঘদিন ধরে হলগুলো বন্ধ ছিল। গত ১০ নভেম্বর কলেজ প্রশাসন হলে আসন বরাদ্দ দেওয়ার নোটিশ দেয়। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ১৮ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ এবং ১৯ ও ২০ নভেম্বর হলে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
ফয়েজ আরও বলেন, এদিকে ছাত্রদল নিজেদের জন্য কিছু আসন দাবি করে। এটা নিয়ে ছাত্রদল গতকাল থেকে ঝামেলা করছে। আজ তারা বৈধভাবে হলে ওঠা সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে।
তবে নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন বলেন, চট্টগ্রাম কলেজের মতো করে পলিটেকনিকেও হল দখল করছে শিবিরের নেতাকর্মীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সময় না দিয়ে তারা (শিবির) নিজেরাই হল বরাদ্দ দিচ্ছে প্রশাসনকে জিম্মি করে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর ছাত্রশিবিরের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশ অস্বীকার করেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, আগে একসময় পলিটেকনিকে ছাত্রশিবিরের আধিপত্য থাকলেও এখন আর তা নেই। অবস্থা বিবেচনায় আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ওখানে পরিচালিত হয় না। সেখানে মূলত হলের সিট বরাদ্দ করতে গেলে ছাত্রদল ও স্থানীয় টোকাইরা এসে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলার দায় তারা ছাত্রশিবিরের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চি করে খুলশী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল হোসেন কালবেলাকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। হলের সিট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন