হবিগঞ্জে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস থেকে নেমে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক কামরুল হাসানের আদালতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এ ছাড়া বেলা ১টার দিকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে নেওয়া হয়। ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালত ভবনে প্রবেশ করানোর সময় ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করা হয়। ভিড়ের মধ্যে কে বা কারা ডিম নিক্ষেপ করেছে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এ সময় বিএনপির ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার শাস্তি চেয়ে স্লোগান দেন।
এদিকে হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার সুমনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ওসি নাজমুল ইসলাম বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নির্দেশে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়।
এ ঘটনার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে ব্যারিস্টার সুমনসহ ১৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন রায় আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আজ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় ব্যারিস্টার সুমন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এ ছাড়া তিনি ঘটনা জানেন না তারপর ইচ্ছে করে তাকে ফাঁসানোর জন্য তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন