পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী শাহীন ওরফে এনামুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া অভিযুক্ত শাহিনের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটে নানা অনিয়ম, জালিয়াতিসহ নিজ বাবাকে মারধরের অভিযোগে বরগুনা আদালতে একাধিক মামলা করা হয়েছে।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাবিনা আক্তার বলেন, গত রোববার (১৭ নভেম্বর) বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী শাহীন এনামুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
তবে ওই মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা নাম দেখা গেছে। মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন আদালত।
একই আদালতে গত ১৮ নভেম্বর বৃদ্ধ বাবাকে মারধরের অভিযোগে শাহীনের বিরুদ্ধে তার বাবা শাহজাহান মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত শাহিন ওরফে এনামুল সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম শাহজাহান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ শাহজাহানের বয়স্ক ভাতার ১০ হাজার ৫০০ টাকা নিজের মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আত্মসাৎ করেন এনামুল শাহিন। নিজের বয়স্কভাতার টাকা না পেয়ে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শাহজাহান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই শেষে অভিযুক্ত শাহীন ও তার স্ত্রীর মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভুক্তভোগী শাহজাহানের সরকারি ভাতার টাকা গিয়েছে মর্মে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
পরে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগী শাহজাহান বৃদ্ধের ভাতার টাকা ফেরত না দিলে ১৫/২০২৪ নম্বর সার্টিফিকেট কেসে শাহিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ইউএনও শামীম মিঞা। সেই মামলায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা সদর ইউএনও শামীম মিঞা কালবেলাকে বলেন, একজন বয়স্ক লোকের সরকারি ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শামীমের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইনস্টিটিউটের গুরুত্বপূর্ণ কাগজে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার একটি অভিযোগ রয়েছে শামীমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি। আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে অভিযোগের বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন