যশোরের মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সুমাইয়া আক্তার রিমি (২০) বাঁচতে চায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
রিমি মনিরামপুর সরকারি কলেজে সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। উপজেলার মকমতলা খানপুর গ্রামের দিনমজুর ইলিয়াস হোসাইনের মেয়ে তিনি।
জানা গেছে, রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজারহাট-চুকনগর আঞ্চলিক সড়কের বিজয়রামপুর খইতলা নামক স্থানে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত রিমিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ ফাঁকা না থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। প্রতিদিন সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে যা তার দরিদ্র বাবার পক্ষে জোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
রিমির বাবা ইলিয়াস হোসাইন বলেন, আমি সামান্য দিনমজুর। যা আয় করেছি সবই সংসারের খরচে শেষ হয়েছে। জমাতে পারিনি এক টাকাও। এখন সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ফাঁকা পাইনি। মেয়েকে বাঁচাতে হলে আইসিইউতে রাখতে হবে। এজন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রেখেছি। এখানে প্রতিদিন অনেক খরচ হচ্ছে। আমি কীভাবে এই খরচ জোগান দেব। সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে আমি আমার মেয়ের চিকিৎসা চালাতে পারব।
যোগাযোগ- ০১৫২১ ৪৫৮ ৯৩৮ (জুয়েল, রিমির ভাই), ০১৯৩৭ ৭৮৪ ৪২৯ ( ফয়সাল, রিমির ভাই)।
নুরে আলম সিদ্দিকী ০১৬০১২৭০০০০০৭৫১ (প্রিমিয়ার ব্যাংক)।
মন্তব্য করুন