বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আলুর কেজি ৪০০ টাকা

নতুন আলু। ছবি : কালবেলা
নতুন আলু। ছবি : কালবেলা

বাজারে উঠেছে আগাম আলু। বগুড়ার নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বাজারে উঠেছে নতুন আলু। দাম নাগালের বাইরে হলেও উৎসবের আমেজে কম বেশি সবাই কিনছেন। বাজারে প্রতি কেজি নতুন লাল পাকড়ি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। জেলায় নবান্ন ঘিরে নতুন ফসলের বাজারে প্রাণচাঞ্চল্য বাড়লেও দাম আকাশচুম্বী। এতে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, শিবগঞ্জের উথলী, নন্দীগ্রাম, আদমদিঘিসহ অন্যান্য নবান্নের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে নতুন পাকড়ি লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। আকারভেদে এসব আলু ছোট এবং মাঝারি সাইজের। আমদানি কম হলেও চাহিদা রয়েছে।

এ ছাড়া পাতা পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, ফুলকপি পিস ৬০-৭০ টাকা, টমেটো কেজি ২৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, সনাতনী পঞ্জিকানুসারে পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন অনুষ্ঠিত হয়। আবহমানকাল থেকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পহেলা অগ্রহায়ণ দিনটি নবান্ন উৎসব হিসেবে পালন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এই নবান্ন উৎসবে নতুন শাকসবজি ফলমূল প্রয়োজন হয়। এ উপলক্ষে পরিবারে আত্মীয়স্বজনদের আপ্যায়ন করা হয়। খাদ্য তালিকায় মাছসহ নতুন আলু থাকে। আর এ কারণেই বাজারে নতুন আলুর চাহিদা বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে নতুন আলু নিয়ে আসনে। দাম বেশি হলেও চাহিদা অনুযায়ী কম বেশি সবাই কিনছেন।

ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে নতুন আলু উঠেছে, আকারে বড় না হলেও নবান্ন উৎসবের কারণে দাম ভালো পাওয়ার জন্য কৃষকরা বিক্রি করছেন। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে নতুন আলু কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কল্যাণ চন্দ্র জানান, প্রতি বছর আমাদের পরিবারে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই উৎসব পালনে বাজারে নতুন আলু কিনতে এসেছি। এই উৎসবে নতুন ধানের চাল, নতুন আলু প্রয়োজন হয়। দাম বেশি হওয়ায় ১০০ গ্রাম কিনেছি ৪০ টাকায়। তাই বাজারে আলুর দাম ৪০০ টাকা কেজি হলে উৎসবের কারণে কিনতে হয়েছে।

বগুড়ার শিবগঞ্জের আকন পাড়া গ্রামের কৃষক মোসলম উদি্দন বলেন, জমিতে লাগানো আলু এখনো পরিপক্ক হয়নি। কিন্তু সনাতনীদের নবান্ন উৎসবের কারণে জমির এক কাপ ভেঙে ৫ কেজি আলু বাজারে এনেছিলাম। চাহিদা বেশি থাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করেছি। সবাই ৫০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত আলু কিনেছেন। দোকান কম থাকায় বিক্রি ভালো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হঠাৎ শক্তি দেখাল রাশিয়া, দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনে তছনছ ইউক্রেন

কোটা আন্দোলনের নেপথ্য নায়কদের মূল্যায়ন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব : ববির প্রো-ভিসি

মালয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণরা

‘আ.লীগের মতো শাসনব্যবস্থা আর আসতে দেওয়া হবে না’

মওলানা ভাসানী রাজনীতিবিদদের জন্য অনুপ্রেরণা : আব্দুল কাদের 

ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার করছে : রিজভী

‘শহীদ’ ইউসুফ ছানোয়ারের পরিবারের পাশে বিএনপি

ঢাকা ওয়াসার দুই ডিএমডিকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দিল কর্মচারীরা

লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মুখপাত্র নিহত

বিসিবি-বাফুফেতে আর্থিক অসংগতি প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা

১০

‘দেশের কল্যাণে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে যুবসমাজকে প্রস্তুত থাকতে হবে’

১১

সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল ওয়ালটন

১২

ভিপিএন ব্যবহার ইসলামবিরোধী, বলছে পাকিস্তান

১৩

বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার

১৪

জয়ের সুযোগ ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রামের

১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন

১৬

মামলা ঝুলছেই স্বীকৃতিও মেলেনি, স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ের সৈনিকদের কথা

১৭

ঢাবির ১৫০০ শিক্ষার্থীকে কোরআন দিয়ে বরণ

১৮

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

১৯

জবিতে সাংবাদিককে হামলার অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

২০
X