নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষক রফিকুল ওরফে রহিত মিয়ার হত্যা মামলার রায়ে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও লাশ গুম করার অপরাধে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন দুর্গাপুর উপজেলার নন্দেরছটি গ্রামের ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, মজিবুর রহমান, আশ্রব আলী, ছামেদুল, শাজাহান আলী, নজরুল ও নুরুল আমিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল হাসেম। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জাহিদুল ইসলাম সৈকত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থন করা নিয়ে দ্বন্দ্বে পরাজিত পক্ষ তোতা মেম্বারের সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় প্রতিপক্ষ হাবিবুর রহমানের সমর্থকদের। এরই জেরে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি জমিতে সেচ দিতে গেলে রফিককে হত্যা করার পর বস্তায় ভরে বোরো ধানের ক্ষেতে কাদায় পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা। পরে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর পেক্ষিতে পরদিন ২৬ জানুয়ারি দুর্গাপুর থানায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত রফিকুলের বাবা আবদুল মোতালেব।
কৌঁসুলি আবুল হাসেম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এক যুগ পর এ মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
মন্তব্য করুন