বগুড়ার শিবগঞ্জে লিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী মাসুদ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ধোপাকুর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত লিমা খাতুন (২৫) ধোপাকুর গ্রামের দিনমজুর মাসুদ মিয়ার প্রথম স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার রাতে মাসুদ তার স্ত্রী লিমা খাতুনকে মারধরের একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীর বাম হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার স্বামী মাসুদ বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তার স্ত্রীর গলায় রশি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত লিমা খাতুনের বাবা আফজাল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় জামাই মাসুদ চতুর্থ স্ত্রীর ছোট বাচ্চার অনুষ্ঠানে আমার মেয়েকে রাজাবিরাটে নিতে চাইলে সে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এই ঘটনায় জামাই আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে একপর্যায়ে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। সে মাদকসেবী। গত ৭ বছর ধরে আমার মেয়েকে ঠিকমতো ভরণপোষণ দেয় না, খোঁজখবরও রাখেন না।
তিনি আরও বলেন, মাসুদ আমার মেয়েকে রেখে আরও ৩টি বিয়ে করেছে। আমার মেয়েকে মেরে হাত পায়ের রগ কেটে রশি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার কথা বলে প্রচার করছে।
শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুকুর আলী বলেন, নিহতের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ছাড়া তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা নিহতের ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে প্রাথমিক তদন্তে স্বামী মাসুদ বাড়িতে আসার তথ্য পাওয়া যায়নি। যেহেতু শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তাই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন