লক্ষ্মীপুরে চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই নারী বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) চারজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর থানার ওসি আবদুল মুন্নাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে সকালে সদর থানায় ৪ জনকে আসামি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেছেন। পরে মনির হোসেন ও নুরুল ইসলাম শানু নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী নারীকে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, প্রতিদিনের মতো নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই নারী। বুধবার গভীর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে মুখোশ পরে ঘরে প্রবেশ করে চারজন। পরে ওই নারীকে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। একপর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পারেন ভুক্তভোগী নারী। পরে তাদের নাম উল্লেখ করেই থানায় মামলা করেন তিনি।
স্থানীয় ভবানীগঞ্জ ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. লিটন হোসেন বলেন, ঘটনাটি তিনি লোকমুখে শুনে খবর নিয়েছেন। ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায়। অভিযুক্ত চারজনের দুজনের আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন জানায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুজনকে ধরতে অভিযান চলছে। তবে চুরির উদ্দেশ্যে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন