আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ডাকসুর সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বিভাগের ৮ জেলার প্রবেশমুখ রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিন শতাধিক ছাত্র-জনতা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে মহাসড়কের দুই পাশে তিন কিলোমিটার জায়গায় যানজট সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে রংপুর থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল কিন্তু পুরো উত্তরাঞ্চল এখন বৈষম্যের শিকার। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ২৪ জন উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জনকেই একটি বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো কেউ নেই।
তাদের দাবি, উন্নয়নের স্বার্থে অন্তত এই দুই বিভাগ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারে চারজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। দাবি মানা না হলে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফের আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ বলেন, এ সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য এ অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির রংপুর জেলা সমন্বয়কারী আলমগীর নয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, ডা. জামিল, রিফাত হাসান প্রমুখ।
আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে তিন দফা দাবি হলো- সুষম উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২ জন করে ৪ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না। পলিসি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাখা যাবে না। সেই সঙ্গে প্রত্যেক উপদেষ্টাকে তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপ্তাহিকভাবে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন