ঢাকার সাভারে বিএনপি নেতা মো. মুরাদ হোসেনের (২৭) ওপর অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোরা ইউনিয়নের চান্দুলিয়ায় এক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি জাদুরচর এলাকা ঘুরে হেমায়েতপুরের মিজান পাম্পে গিয়ে শেষ হয়। এতে স্থানীয় প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তেঁতুলঝোরা ইউনিয়নের চান্দুলিয়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম (৩৮), মো. শরিফ (২৭), সোহেল (২২), মো. জুয়েল (২৫), আবেদ (২২), মো. মোতালেব (৪০), মো. রবিউলসহ (৩৮) অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন। তারা সবাই সাভারের তেঁতুলঝোরা ইউনিয়নের চান্দুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। তারা তেঁতুলঝোরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
ভুক্তভোগী মো. মুরাদ হোসেন তেঁতুলঝোরা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত কিছু দিন ধরে ভুক্তভোগীকে রাজনৈতিক বিরোধিতার জেরে হুমকিধামকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তরা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পাশে একা অবস্থানকালে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাকে রড, এসএস পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ভুক্তভোগীর শরীরে জখম হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে হেমায়েতপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী জুয়েল মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ হুমকিধামকি দিচ্ছিল। গতকাল একা পেয়ে আমার ওপর হামলা করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে হেমায়েতপুরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ। এ সময় তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, মুরাদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন