লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অটোরিকশার চাঁদা আদায়ের জেরে আলোচিত একরামুল হক (৩৫) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে আরও ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার করে টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে শামীম হোসেন (৩৭), একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে নুর হাই (৪০) এবং মৃত নজির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (২৮)।
রায় ঘোষণার সময় নুর হাই ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর ৬ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গত ২০২০ সালের ১০ জুলাই সকালে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত শামীম হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে একরামুল হককে রমনীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেইদিন থেকে নিখোঁজ ছিল একরামুল। এর সাতদিন পর সানিয়াজান নদীর ধারে একটি ধান ক্ষেত থেকে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একরামুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াছমিন (৩১) বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় শামীম, নুর হাই এবং সবুজের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়ের জেরে একরামুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল শামীমসহ অন্য আসামিদের।
গত ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।
লালমনিরহাট আদালতের সরকারি কৌসুলি এ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য করুন