বিপ্লব উদ্যানে গ্রিন পার্কই হবে, তাই বাণিজ্যিকীকরণ করতে হাইকোর্টে গিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যানে যারা মাফিয়া চক্র, সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করে বারবার বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ইতিহাসের যে পটভূমি, সেটা সুন্দরভাবে লিখিত থাকবে। এটা একটা গ্রিন পার্ক হবে। সবুজের সমারোহ থাকবে। মানুষ হাঁটতে পারবে এবং সেখানে বসতে পারবে। কোনো বাণিজ্যিকীকরণ সেখানে হবে না। মাফিয়াদের চক্র সেখানে চলবে না। অনেক চক্র বিভিন্নভাবে হাইকোর্টে যাচ্ছে যাতে সেখানে পার্ক করতে না পারি। আমি তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাইকোর্টে গিয়ে কোনো লাভ হবে না।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ড্যাব চট্টগ্রাম শাখার সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেডিকেল ক্যাম্প উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. মো. ইমরোজ উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এ কর্মসূচিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় রক্ত সংগ্রহ করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সহসভাপতি ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইফতেখার লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইস্কান্দর মির্জা, মজিবুল হক, মো. কামরুল ইসলাম, জাফর আহমেদ, মো. আজম, আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, চমেক ড্যাবে যুগ্ম সম্পাদক ডা. ঈসা চৌধুরী, চসিক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হোসনে আরা বেগম, ড্যাব নেতা ডা. তানভীর তান্না, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. রিয়াসাত, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. জোনায়েদ রায়হান প্রমুখ।
অন্যদিকে, একইদিন টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমের সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নিয়ে আলোচনায় সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দরসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয় বরং প্রকল্পের পাশাপাশি জনসচেতনতা, পরিবেশ রক্ষা ও পরিকল্পিত নগরায়ণও জরুরি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম এবং সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন