ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাকে উপজেলা চত্বর থেকে আটক করা হয়।
রাজু আহমেদ উপজেলার আড়পাড়া এলাকার কওসার মহুরীর ছেলে ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার ৭৩নং এজাহারভুক্ত আসামি।
তবে পুলিশ বলছে, মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম ভুল করে রাজু আহমেদের নাম দিয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের ৪৫০-৫০০ জন নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মিছিল নিয়ে শহরের থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বাদী হয়ে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ৭৩ নং এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদ। এ মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কারাগারে আছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার এসআই চয়নের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ২০-২৫ জন যুবক রাজু আহমেদকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় যায়। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। তবে এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে বিপুল অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজু আহমেদ গত ৫ আগস্টের আগে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলের সঙ্গে যুবলীগের রাজনীতি করতেন। এছাড়াও নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমন ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। তিনি বিএনপির দলীয় অফিস পোড়ানোর সঙ্গেও জড়িত। তার নাম জেনেশুনেই দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যা বলছে সেটি বানোয়াট ও মিথ্যা।
ঝিনাইদহ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে আটকের পর পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আর জিআর মামলা রেকর্ড হওয়ার পর এটির বাদী হয়ে যায় রাষ্ট্র আর অভিযোগকারী হয়ে যান স্বাক্ষী মাত্র। একমাত্র আদালত তাকে জামিনের মাধ্যমে ছাড়তে পারে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, মামলার বাদী বলেছে রাজু আহমেদের নাম ভুল করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দিয়েছি। কোনো টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি। আটকের পর আপনি ছেড়ে দিতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
মন্তব্য করুন