বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের কারণ দর্শানোর জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ ছাড়া গিয়াস কাদেরকে সতর্কও করেছে দলটি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সামির কাদের চৌধুরীর প্রাথমিক সদস্যপদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাউজান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ, নুরুল হুদা চেয়ারম্যানের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, উত্তর চট্টগ্রামজুড়ে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে দুজনকে আগামী তিন দিনের ভেতরে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, প্রবাসীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কমিটি গঠনে বাধা, সন্ত্রাসী ভাড়া করে সীতাকুণ্ড রাউজানসহ অন্যান্য নির্বাচনী আসনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ এনে তিন দিনের ভেতর কেন গিয়াস কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া একই অভিযোগে রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা চেয়ারম্যান ও ফিরোজ আহমেদ মেম্বারকে অভিযুক্ত করে পৃথক নোটিশে তাদেরও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সামির কাদের চৌধুরীকে পৃথক নোটিশ জারি করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় দুষ্কর্মে সহযোগিতা, দেশি ও প্রবাসী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, চাঁদা না পেয়ে কাউকে কাউকে হুমকি প্রদর্শনসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক নানা অভিযোগ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খানের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এর যথাযথ কারণ দেখিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠির মাধ্যমে ফিরোজ আহমেদ মেম্বার, নুরুল হুদা চেয়ারম্যান এবং শামীর কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিত করার বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর আপনার বিরুদ্ধে জারিকৃত কারণ দর্শানো নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। সুতরাং আপনার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ নির্দেশক্রমে আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।
মন্তব্য করুন