সিলেটে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা সোমবার (১১ নভেম্বর) নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এই অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মুহিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে।
তবে সোমবার কিছু শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্কুলের সামনে প্রতিবাদ করে এবং শিক্ষকের মুক্তির দাবি জানায় তারা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মুহিবুর রহমান নিজ বাসায় একটি কোচিং সেন্টারে খুলে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ান। গত ৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে একটি মোবাইল নম্বর দেন এবং বাসায় পৌঁছে ফোন করতে বলেন। সেদিন রাতে ওই ছাত্রী মুহিবুরকে কল দিলে তিনি অশালীন কথাবার্তা বলেন। পরদিন ৬ নভেম্বর (বুধবার) ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে নিজ বাসায় একান্তে ডেকে নিয়ে অসদাচরণ করেন।
ছাত্রীর পরিবার জানায়, এ ঘটনার পর ছাত্রী স্কুলে গিয়ে তার সহপাঠীদের ঘটনাটি জানায় এবং প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।
ঘটনা জানার পরপরই ছাত্রীর মা বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। তিনি ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঢাকায় ফিরে এসে তিনি মেয়েকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা শেষে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক কালবেলাকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে এবং আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রমাণ সংগ্রহ করছি। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন