বরগুনায় রিমান্ডের আসামিদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের চারজন সদস্যসহ বরগুনা সদর হাসপাতালের পাঁচজন কর্মচারী আহত হন। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
বরগুনা গোয়েন্দা শাখার ওসি বশিরুল আলম বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর তালতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও তালতলী উপজেলা জিয়া মঞ্চের কার্যালয় ভাঙচুর করেন তালতলী উপজেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা মো. মিজান ওরফে টাচ মিজানসহ তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে তালতলী থানায় মামলা করেন তালতলী উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক জাকির খলিফা। পরে মামলার এজহার অনুযায়ী আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে ‘টাচ মিজান’সহ ৭ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আসামিরা হলেন মো. মিজান ওরফে টাচ মিজান, মো. রাকিব, মো. জাহিদ, মো. খলিল মিয়া, ইমার ওরফে বাটন ইমরান, আরিফ ও ইউসুফ মিয়া।
রিমান্ডে নেওয়ার আগে আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান মামলার তদন্ত করে কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম। এ সময় আসামিপক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে আসামিসহ তাদের পক্ষের লোকজন পুলিশের হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এতে পুলিশের চার সদস্য আহত হন।
আহতরা হলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম, অন্তর ও ফোরকান, রিয়াজুল ইসলাম।
পরে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে ওই ৭ আসামিসহ হামলার ঘটনা জড়িত আরও ৩ জনকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, তালতলী থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করি। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আগে আসামিদের শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ সময় আসামিপক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আমিসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও হাসপাতালে পাঁচজন কর্মচারী আহত হন।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. বশির আলম বলেন, তালতলী থানার একটি মামলার রিমান্ডের আসামি পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার খবর শুনে হাসপাতালে যাই। পরে ৭ জন আসামিসহ তিনজন হামলাকারীকে আটক করি। বাকি হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন