ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যুবলীগের নেতাকে পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান তারা। পরে রাতে ওই যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
জানা যায়, ওই যুবলীগ নেতার নাম সেলিম মৃধা। তিনি পাহাড়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। নাশকতার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করে আউলিয়া বাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফাঁড়িতে যান। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন। রাত ৯টার দিকে সেলিম মৃধাকে বিজয়নগর থানায় নেওয়া হয়। তখন নেতাকর্মীদের অনেকে থানায় যান। রাত একটার দিকে মুচলেকা নিয়ে সেলিম মৃধাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় সেলিম মৃধাকে আটক করে আউলিয়া বাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরপরই উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মন্নাফ, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াহিয়া খান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিশু মিয়া, ভিটি দাউদপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামসু মিয়া, নির্বাচন করে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিবের পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া লিটন মুন্সি, বিএনপি নেতা রেনু মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ, জাহের মিয়া প্রমুখ ওই পুলিশ ফাঁড়িতে যান।
পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক বলেন, ‘সেলিম মৃধা ইংরেজির শিক্ষক। অনেক শিক্ষার্থী তার কাছে পড়াশোনা করে। তাকে ছাড়িয়ে আনতে অনেকের সঙ্গে আমাকেও যেতে হয়েছে।’ বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, এলাকার লোকজন বলেছেন, তিনি (সেলিম মৃধা) ভালো মানুষ ও শিক্ষক। তার পক্ষে এলাকার শিক্ষক নেতারা এসে অনুরোধ করেছেন। কীভাবে যুবলীগের কমিটিতে তিনি এসেছেন, তা তিনি জানেন না। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে উপজেলার নোয়াবাদী এলাকা থেকে সৈয়দ হোসেন (৭০) ও শাহ আলম (৫০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে নিতে শনিবার রাত বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগর সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিজয়নগর থানায় আসেন।
সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতিকে ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে বিএনপির দুই কর্মীকে পুলিশ ধরে এনেছে। তারা ১৯৯০ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ দাবি করেছে, আমার দুই কর্মী আওয়ামী লীগ করেন।
মন্তব্য করুন