সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিলেটে শিশু মুনতাহারের দাফন সম্পন্ন, কাঁদছে দেশবাসী

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের দাফন সম্পন্ন। ছবি : কালবেলা
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের দাফন সম্পন্ন। ছবি : কালবেলা

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় আলোচিত শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) বাদ আসর জানাজার নামাজ শেষে বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ঘাতক গৃহশিক্ষিকা শামিমা আক্তার মার্জিয়াসহ তিন নারীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মাটিতে পুঁতে ফেলা লাশ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে গৃহশিক্ষিকার মাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার লাশ দেখতে পান স্বজনরা।

শিশু মুনতাহা হত্যার ঘটনায় শোকে ভাসছে সারা দেশ। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ব্যথিত মনের অভিব্যক্তি অনেকেই প্রকাশ করছেন নেট দুনিয়ায়।

এদিকে এ ঘটনায় শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও নানি কুতুবজান বিবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয়জনকে আইনের আওতায় আনা হলো।

মুনতাহা আক্তার জেরিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গ্রেপ্তার তিনজনই মুনতাহার প্রতিবেশী।

সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার (৩ নভেম্বর) ভিকটিম মুনতাহা মাগরিবের নামাজের আগে একটি আপেল খেতে খেতে মার্জিয়ার ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশ করতেই মার্জিয়া ভিকটিম মুনতাহার গলাটিপে ধরে। গলাটিপে ধরার সঙ্গে সঙ্গে সে মারা যায়। মুনতাহার লাশ মার্জিয়া ও তার মা মিলে বাড়ির পেছনের নর্দমার মধ্যে ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে মার্জিয়া বলেছে, তিনি ১৬৪ ধারায় বলতে রাজি আছে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আদালতে গিয়ে। আমরা প্রথমে মার্জিয়া ও তার মাসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। পরে আরও সন্দেহজনক তিনজন নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের আটক করা হয়নি। যেহেতু মার্জিয়া নিজে স্বীকার করেছে সে ও তার মা হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মার্জিয়ার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধানে তল্লাশি চালান স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখেন। এ সময় তাকে আটকাতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা কাদামাটি মাখা মুনতাহার লাশ দেখতে পান। পরে মার্জিয়ার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ বলেন, মুনতাহার নিখোঁজের পর থেকে পুলিশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছিল। কিন্তু কোনো ক্লু পাচ্ছিল না। শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে বলেন।

তিনি বলেন, মুনতাহার স্বজনসহ স্থানীয়রা রোববার রাতভর মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার লাশ দেখতে পান। আটকের পর তিনি জানান, লাশ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। রাতে সেখান থেকে মরদেহ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, মার্জিয়া মুনতাহার প্রতিবেশী। একসময় ভিক্ষা করতেন মার্জিয়ার মা ও নানি। মুনতাহাকে বাড়িতে পড়াতেন মার্জিয়া। মার্জিয়াকে তার স্বামী ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে বাড়ির বাইরে গেলে মুনতাহাকে সঙ্গে নিতেন মার্জিয়া। সবাই তাকে বিশ্বাসও করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। সম্প্রতি মার্জিয়ার পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল বলে জানতে পেরেছি।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশে প্রতিবেশী মার্জিয়া আক্তার ও তার মা আলিফজান মিলে তাকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, মুনতাহাকে গত রোববার (৩ নভেম্বর) অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাঁদামাটিতে চাপা দিয়ে রাখা হয়। রোববার ভোরে আলিফজান বেগম মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ওসি আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। বরং সহজভাবে হেসে হেসে উত্তর দেয়। এরপর ভোররাতে লাশ উদ্ধারের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মুনতাহার লাশ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করে। মুনতাহার লাশ পুকুরে ফেলে ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করা হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল।

গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। খেলার সাথীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

সে সময় ছোট্ট শিশু মুনতাহার সন্ধান দাতাদের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন অনেকেই। মুনতাহার সন্ধান এবং ‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কয়েকজন প্রবাসী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ফারমিস আক্তার নামের সিলেটের এক নারী সমাজকর্মী মুনতাহার সন্ধানদাতার জন্য একটি স্বর্ণের চেইন পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। তখনই পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করেছিলেন, মুনতাহাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় আলোচিত শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) বাদ আসর জানাজার নামাজ শেষে বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ঘাতক গৃহশিক্ষিকা শামিমা আক্তার মার্জিয়াসহ তিন নারীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মাটিতে পুঁতে ফেলা লাশ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে গৃহশিক্ষিকার মাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার লাশ দেখতে পান স্বজনরা।

শিশু মুনতাহা হত্যার ঘটনায় শোকে ভাসছে সারা দেশ। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ব্যথিত মনের অভিব্যক্তি অনেকেই প্রকাশ করছেন নেট দুনিয়ায়।

এদিকে এ ঘটনায় শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও নানি কুতুবজান বিবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয়জনকে আইনের আওতায় আনা হলো।

মুনতাহা আক্তার জেরিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গ্রেপ্তার তিনজনই মুনতাহার প্রতিবেশী।

সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার (৩ নভেম্বর) ভিকটিম মুনতাহা মাগরিবের নামাজের আগে একটি আপেল খেতে খেতে মার্জিয়ার ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশ করতেই মার্জিয়া ভিকটিম মুনতাহার গলাটিপে ধরে। গলাটিপে ধরার সঙ্গে সঙ্গে সে মারা যায়। মুনতাহার লাশ মার্জিয়া ও তার মা মিলে বাড়ির পেছনের নর্দমার মধ্যে ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে মার্জিয়া বলেছে, তিনি ১৬৪ ধারায় বলতে রাজি আছে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আদালতে গিয়ে। আমরা প্রথমে মার্জিয়া ও তার মাসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। পরে আরও সন্দেহজনক তিনজন নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের আটক করা হয়নি। যেহেতু মার্জিয়া নিজে স্বীকার করেছে সে ও তার মা হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মার্জিয়ার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধানে তল্লাশি চালান স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখেন। এ সময় তাকে আটকাতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা কাদামাটি মাখা মুনতাহার লাশ দেখতে পান। পরে মার্জিয়ার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ বলেন, মুনতাহার নিখোঁজের পর থেকে পুলিশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছিল। কিন্তু কোনো ক্লু পাচ্ছিল না। শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে বলেন।

তিনি বলেন, মুনতাহার স্বজনসহ স্থানীয়রা রোববার রাতভর মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার লাশ দেখতে পান। আটকের পর তিনি জানান, লাশ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। রাতে সেখান থেকে মরদেহ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, মার্জিয়া মুনতাহার প্রতিবেশী। একসময় ভিক্ষা করতেন মার্জিয়ার মা ও নানি। মুনতাহাকে বাড়িতে পড়াতেন মার্জিয়া। মার্জিয়াকে তার স্বামী ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে বাড়ির বাইরে গেলে মুনতাহাকে সঙ্গে নিতেন মার্জিয়া। সবাই তাকে বিশ্বাসও করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। সম্প্রতি মার্জিয়ার পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল বলে জানতে পেরেছি।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশে প্রতিবেশী মার্জিয়া আক্তার ও তার মা আলিফজান মিলে তাকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, মুনতাহাকে গত রোববার (৩ নভেম্বর) অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাঁদামাটিতে চাপা দিয়ে রাখা হয়। রোববার ভোরে আলিফজান বেগম মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ওসি আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। বরং সহজভাবে হেসে হেসে উত্তর দেয়। এরপর ভোররাতে লাশ উদ্ধারের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মুনতাহার লাশ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করে। মুনতাহার লাশ পুকুরে ফেলে ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করা হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল।

গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। খেলার সাথীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

সে সময় ছোট্ট শিশু মুনতাহার সন্ধান দাতাদের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন অনেকেই। মুনতাহার সন্ধান এবং ‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কয়েকজন প্রবাসী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ফারমিস আক্তার নামের সিলেটের এক নারী সমাজকর্মী মুনতাহার সন্ধানদাতার জন্য একটি স্বর্ণের চেইন পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। তখনই পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করেছিলেন, মুনতাহাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২২ হাজার সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের ঘোষণা আসছে

শেয়ার মার্কেটেও কারসাজি বীকনের, পিওনদেরও কোটি কোটি টাকার শেয়ার

জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা নিহত

এবার জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে বন্দুক হামলা

হংকংয়ে কোম্পানি খুলেছেন সাবেক এমপি, অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা

মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইসিসির সাহসী পদক্ষেপ : এরদোয়ান

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই ডাক্তার, রোগী দেখছেন ফার্মাসিস্ট

জাংক ফুড খেলে কি স্মৃতিশক্তি কমে যায়? 

১০

‘রোহিঙ্গা সংকট কক্সবাজারের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে’

১১

জলবায়ু সম্মেলন / বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

১২

‘শেখ হাসিনা আ.লীগকে কবর দিয়েছেন’

১৩

স্ত্রীকে শেষ কথা শহীদ জামালের / তুমি বাড়ি যাও, আমি আসছি

১৪

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে কুড়িগ্রাম

১৫

বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত

১৬

আ.লীগ নেতা ডন গ্রেপ্তার

১৭

আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ

১৮

আমরা কি মানুষ নই? বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০

১৯

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

২০
X