বগুড়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৌহিদ আহম্মেদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে আদালত চত্বর। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে আদালতে নেওয়া হলে সেখানে ছাত্র-জনতা তার ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে। প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৌহিদ আহম্মেদকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে জুলাই-আগস্ট অভুত্থানের একাধিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নেওয়া হয়।
পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসান ইলাহী কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে পুলিশ তৌহিদকে আদালতের হাজত থানায় নেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাজত খানার সামনে গিয়ে তৌহিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশ দ্রুত সময়ে তৌহিদকে প্রিজন ভ্যানে ওঠায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা হামলার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি এসএম মঈনউদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকেই ক্ষিপ্ত ছিল। বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে নিরাপদে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
মন্তব্য করুন