বাগেরহাটে বিএনপি নেতা সজীব তরফদারকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় আবু বক্কর শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আবু বক্কার শিকদার (৫৭) বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পিরোজপুরের কাউখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ঘটনাস্থলের আলামত ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয় চারজন। তাদের সবাই ভাড়াটে খুনি। তাদের মধ্যে আবু বক্কার শিকদার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে স্বীকার করেছে, তারা ভাড়াটে খুনি এবং খুন করার জন্য তাদের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আবু বক্কর ও তার এক সহযোগীর সঙ্গে তিন লাখ টাকার চুক্তি ছিল। অন্য দুজনের সঙ্গে আবু বক্কার শিকদারের পরিচয় নেই এবং তাদের চুক্তির বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমরা সব বিষয় খতিয়ে দেখছি। আবু বক্কার শিকদারের বক্তব্যও যাচাই করা হচ্ছে। হত্যার সম্ভাব্য পাঁচটি কারণ নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আশা করছি, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মাস্টারমাইন্ডসহ জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
বিএনপি নেতা সজীব হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী নাইমা ফারহানা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে ডেমা ফেরার পথে মির্জাপুর-আমতলায় গুলি করে ও কুপিয়ে বিএনপি নেতা মো. সজীব তরফদারকে হত্যা করা হয়।
মন্তব্য করুন