অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, শুধু অন্তর্বর্তী সরকারই সংস্কার চায় না, সংস্কার আমাদেরও কর্মসূচি। অনেক সংস্কার দরকার। সেটা আমরাও মানি। আমরা সংস্কারে বাধা দিচ্ছি না। তবে অনেক বহুমাত্রিক সংস্কার আছে। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া কোনো সাংবিধানিক সংস্কার করা কখনও সম্ভব না।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ফরিদপুর বিভাগীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, বিএনপি ১৬ বছর ধরে মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আর এ আন্দোলনকে থামাতে আওয়ামী সরকার নেতাকর্মীদের নামে এক লাখ ৬২ হাজার মামলা দিয়েছিল। এই সব মামলায় আসামি করা হয় ৬২ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীকে।
ফরিদপুর বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আয়োজনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ মাওলানা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে এই কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি মানুষের ভোটের অধিকার এবং দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অনেকেই মনে করতে পারেন, এক বা দেড় মাসের আন্দোলনে সরকারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। আমি মনে করি এটা তাদের ভুয়া চিন্তাধারা। এক দেড় মাসের আন্দোলনে কোনো স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটতে পারে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ৫ আগস্টে তাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। সামনের পথ সহজ নয়, চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই চাই না বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হোক। তারা নিজেদের সফল করতে চাইলে তাদেরও কিছু কর্তব্য আছে। তাদের পথ যেন লম্বা না হয়। যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দিবেন তারা।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেনর খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মন্তব্য করুন