ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়া ঘোষ বাড়ি পঞ্চায়েত কমিটির আয়োজিত পূজা উদযাপন পরবর্তী মতবিনিময় সভা চলাকালীন সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মোল্লা ফারুক, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সোবহান ঢালী, সিজান, রাজা জনি, রানা, হামিম, সবুজ শিহাবসহ কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করতে সভাস্থলে আসেন। মিছিলটি সভাস্থলে পৌঁছা মাত্রই স্থানীয় বিএনপি ও তাদের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় মোল্লাহ ফারুকের সমর্থকরা প্রতিরোধ করতে চাইলে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, মোল্লা ফারুকের লোকজন একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছে।
শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম ফারুক বলেন, মোল্লাহ ফারুক একজন চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী দুঃশাসনের সময় সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সে একজন ভূমিদস্যু। তার বিরুদ্ধে মসজিদের জায়গা, হিন্দু ধর্মাবলম্বী জায়গাসহ অসংখ্য মানুষের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। সে বিএনপিতে যোগদান করলে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকবে না। মোল্লা ফারুকের বিএনপিতে যোগদান বিএনপি নেতাকর্মীরা কখনোই মেনে নিবে না।
কেরানীগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মোল্লাহ ফারুক বলেন, আমি আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। এমনকি একাধিক মামলার আসামিও হয়েছি। বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগে গেলেও স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি ও সাধারণ মানুষের জন্য পুনরায় বিএনপিতে যোগদান করতে চেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে।
মন্তব্য করুন