গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘যারা আওয়ামী লীগ করেন, তারা দুধ দিয়ে গোসল করেন; তওবা করে পবিত্র হয়ে যান। আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিলে জনগণ আস্ত রাখবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগেই আমি বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের দশা আফগানিস্তানের মতো হবে। বিমানের চাকা ও ছাদে করে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। হয়েছে ঠিক তা-ই। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় পাননি। দ্রুত দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। আপনারাও পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবেন না।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে তারুণ্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জেলা গণঅধিকার পরিষদ এই জনসভার আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।
নুরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। একে নিয়ে টানাহেঁচড়া করে লাভ নাই। কেউ যদি আওয়ামী লীগের নাম নেয়। তার পরিণতি ভালো হবে না। এই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাদের কোনো জায়গা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে চাঁদাবাজি কমেনি, শুধু হাতবদল হয়েছে। যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে অন্তর্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। এতে জনগণ খুশি হবে।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু সারা দেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে, তাদের আস্ফালন থামেনি।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে গণঅধিকার পরিষদ সময় দেবে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই। নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে যে গণআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। অডিও ফাঁস হয়েছে, আগামীকাল না কি ঢাকার পল্টন জিরো পয়েন্টে তারা সমাবেশ করবে। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগামীকাল ঢাকার রাস্তায় একজন আওয়ামী লীগকেও নামতে দেওয়া হবে না। এত ছাত্র-জনতার হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদর সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী রোকেয়া জাবেদ মায়া, সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরান আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাজু রায়হান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন