যশোরের ঝিকরগাছায় পিয়াল হাসান নামে এক যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পিয়াল পৌর সদরের মোবারকপুর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঝিকরগাছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বারান্দায় তাকে হত্যা করা হয়।
এর আগে হল রোডে বটতলায় তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাণে বাঁচতে পিয়াল দৌড়ে বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে সেখানে তার ওপর বোমা হামলা ও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে স্থান ত্যাগ করে তারা।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট কামারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে আহত করে পিয়াল। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার পিয়াল জামিনে বের হন। তার প্রতিশোধ নিতেই তার ছেলেরা পিয়ালকে হত্যা করেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
পিয়ালের বাবা কিতাব আলী বলেন, দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য পিয়াল বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় হলরোডে পৌঁছালে তার ওপর হামলা চালায় মোবারকপুর গ্রামের কামারুল ইসলামের ছেলে শাহীন ও শামীম, আমিরুল ইসলামের ছেলে ডালিম ও রিপন, ইয়াকুব আলীর ছেলে সোহেল, আব্দুস সোবহানের ছেলে মেহেদী ও আইয়ুব এবং ওই এলাকার ইসমাইলসহ আরও অনেকে। তখন পিয়াল নিজের জীবন বাঁচাতে গার্লস স্কুলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ সময় তার পিছু নিয়ে সেখানে পিয়ালকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
অভিযুক্ত শামীম রেজা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক। অন্যরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নিহত পিয়ালের চাচা সিরাজুল ইসলাম জানান, পিয়াল সম্প্রতি অভিযুক্ত শামীম-শাহীনের বাবা কামারুল ইসলামকে চাকু মারার মামলায় গত বৃহস্পতিবার জেল থেকে বের হয়েছে। এ নিয়ে আজ সন্ধ্যায় মিমাংসার কথা ছিল। এর আগেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পার্থ সারথী রায় বলে, হাসপাতালে আনার আগেই পিয়ালের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খাঁন জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন