ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে দাবি করা চাঁদার টাকা কম দেওয়ায় গৃহবধূকে (৪২) ধর্ষণের অভিযোগে ফরহাদ ও তার সহযোগী আজমির ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে দৌলতখান লঞ্চঘাটে কর্ণফুলী ১৩ লঞ্চ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের হাশেম সর্দারের ছেলে ফরহাদ (২২) ও জহির ফরাজির ছেলে আজমির ফরাজি (২৩)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শশীভূষণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল চন্দ্র সমদ্দার কালবেলাকে বলেন, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় মামলা করেন। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর ছোট মেয়ের ঢাকায় বিয়ে হয়। পরে স্বামীকে নিয়ে একই ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে আসেন। গত ৪ নভেম্বর অভিযুক্তরা সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূর বাড়িতে আসে। এ সময় তারা গৃহবধূকে বলে তোমার মেয়ে অবৈধ লোক নিয়ে ঘরে থাকে, দ্রুত এলাকা ছাড়, না হয় আবার বিয়ে দেব অথবা পুলিশকে খবর দেব। এ সময় তারা গৃহবধূর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ইজ্জত দিতে হবে বলে জানায় ফরহাদ ও আজমির।
এমন পরিস্থিতিতে ভয়ে গৃহবধূ তাদের ১৫ হাজার টাকা দেন। পাঁচ হাজার টাকা কম দেওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আজমির ফরাজির সহযোগিতায় ফরহাদ গৃহবধূকে ঘরের পেছনে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার শশীভূষণ থানায় অভিযুক্ত দুজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।
এসআই শ্যামল চন্দ্র সমদ্দার আরও জানান, শুক্রবার ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফরহাদ ও সহযোগী আজমির ফরাজিকে রাত ৯টার দিকে দৌলতখান লঞ্চঘাট কর্ণফুলী ১৩ থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল কালবেলাকে বলেন, ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে দৌলতখান লঞ্চঘাট থেকে গ্রেপ্তার করে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন