মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় কন্দ পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা আমন ধান কাটার পর্ব শেষে কন্দ পেঁয়াজ লাগানো শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে কন্দ পেঁয়াজ (শাখা পেঁয়াজ) আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমি। যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো আবাদ চলমান রয়েছে। আবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক মো. শাজাহান কালবেলাকে জানান, আমি এ বছর ৭০ শতক জমিতে কন্দ পেঁয়াজ চাষ করেছি। এতে ৬ হাজার টাকা মণ হিসেবে গুটি পেঁয়াজ কিনেছি। ৭০ শতক জমিতে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। আবাদ যদি ভালো হয় তাহলে প্রতি বিঘায় ৬০ থেকে ৭০ মণ পেঁয়াজ হতে পারে। দামের পরিমাণ ভালো হলে বেশ লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি। এখন তো সব কিছুরই দাম বেশি। তাই খরচও অনেক বেশি পড়ে যায়।
ঝিটকা শিকদার পাড়া গ্রামের গ্রামের কৃষক কাশেম জানান, আমি এ বছর ৬০ শতক জমিতে কন্দ পেঁয়াজ লাগাব। তাতে দুই লাখ টাকার ওপরে আমার খরচ হবে। ভালো আবাদ হলে ১২০-১৩০ মণ পেঁয়াজ হতে পারে। দাম ভালো পেলে আমার সব খরচ বাদ দিয়ে খুব একটা খারাপ হওয়ার কথা নয়। বাপ দাদার পেশা কৃষি কাজ। তাই আশা নিয়েই তো কৃষি কাজ করতে হয়। সব ফসলে তো আর লাভ হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান জানান, হরিরামপুর উপজেলায় ঐতিহ্যগতভাবে অনেক আগে থেকেই কন্দ পেঁয়াজ ও হালি পেঁয়াজের চাষে কৃষকদের সুখ্যাতি রয়েছে। গত বছর কন্দ পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৮শ হেক্টর জমি। গত বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ফলনও ভালো হয়েছে।
তিনি জানান, চলতি বছর আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ১০০০ হেক্টর। তবে এবারও আবাদের পরিমাণ বাড়বে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এবারও কৃষক কন্দ পেঁয়াজ চাষে লাভবান হবে আশা করছি। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি, এ বছর উপজেলায় পেঁয়াজের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন