দিনাজপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছিল। এরপর দিনের ভোট রাতে করে এবং বিনা ভোটে ১৭ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল। এ সময় আমরা অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেছি, হয়তো কাঙ্ক্ষিতভাবে সফল হতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেছি যেন চিরদিনের জন্য বাংলার মাটি থেকে হাসিনা থেকে বিতাড়িত হয়। আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেছেন ছাত্র-জনতাকে দিয়ে। আজ শেখ হাসিনা বিতাড়িত, আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলার মাটিতেই আছি।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটের গোয়ার্স মার্কেটে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমরা এই বাংলায় থাকবো মন্তব্য করে আখতারুজ্জামান মিয়া বলেন, আপনারা অনেকেই বলেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কখনোই নয়। বিএনপি বিএনপি-ই। এই দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল, বেগম জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল। আমাদের মান যাবে না, ইজ্জত যাবে না। প্রয়োজনে জীবন দেব। আমরা ১৭ বছর ধরে নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই, এই বাংলাতেই থাকব।
আখতারুজ্জামান মিয়া বলেন, বিএনপি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি বলেই এখনো টিকে আছি। অনেকেই মনে করছেন আওয়ামী লীগ আসবে। কবে আসবে? কোন দিন? আর এসেই বা কী করবে? আমরা ১৭ বছর ধরে নির্যাতন সহ্য করেছি আরও ২৭ বছরও সহ্য করতে পারব। তবু বাংলার মাটি ছেড়ে যাব না। আওয়ামী লীগ এই তিন মাসে যে কান্নাকাটি আর চিৎকার করছে, আমাদের মতো ১৭ বছর থাকলে তারা না খেয়ে মরবে।
আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সফিকুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম তুহিন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সাঈদ আহমেদ সেলিম বুলবুল, ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক লোকমান হোসেন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টের আহ্বায়ক কেশব চন্দ্র কর।
মন্তব্য করুন