প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ৭ মাস ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ৪টি গ্রাম।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সরেজমিনে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের মধুখালী-ঢালারমুখ খালের ওপর নির্মিত এ সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে মধুখালী-ঢালারমুখ খালের ওপর নির্মিত হয় এ সংযোগ সেতুটি। গত মাসখানেক আগে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে টৈটংয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির ধাক্কায় মধুখালী-ঢালারমুখ সেতুটির উভয় পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল আলম বলেন, এ সেতুর ওপর দিয়ে টৈটং ইউনিয়নের মধুখালী, বনকানন, ঢালারমুখ, রমিজপাড়া, কেরণছড়ি, লেইনের শিরা, হাজি বাজার, মাঝেরপাড়া গ্রামের অন্তত ৪ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুটি নির্মাণের পর থেকে ছোট বড় সব ধরনের গাড়ি চলাচল করত। বর্তমানে হেঁটে যাওয়াই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক জানান, জনগণের চলাচলের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতু দিয়ে রমিজপাড়া, ঢালারমুখসহ কয়েকটি গ্রামের স্কুল-মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী যাতায়াত করত। এক সময় সেতু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করত। বর্তমানে সংযোগ সড়কের অবস্থা বেহাল।
পেকুয়া উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ আসলে মাটির কাজ পুনরায় করে দেওয়া হবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন