কুড়িগ্রামের চিলমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও সেখান থেকে এখন পর্যন্ত সেবা নিতে পারেনি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে অফিসটি। শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এলেই তহশিলদারকে দেখা যায় অফিসে যেতে।
স্থায়ী এই অফিসে ভূমি সেবা না পেয়ে নদীপথে প্রায় ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে উপজেলা পরিষদে এসে অস্থায়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে হয়। এতে করে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় চরাঞ্চলের কৃষকদের।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা উপজেলা শহর থেকে বিছিন্ন চিলমারী ইউনিয়ন। যাতায়াতের মাধ্যম একমাত্র নৌকা। ইউনিয়নটির আয়তন ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিমি, রয়েছে ১০টি মৌজায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক। এই ইউনিয়নের প্রায় সকলেই কৃষি কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা না দেওয়ায় ঐ ইউনিয়নের সেবাগ্রহীতাদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসলেই তালা খুলে বসেন তহশিলদার। এ ছাড়া অফিসে আসেন না তিনি। জমির খাজনা খারিজ করতে নদীপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সদরে।
স্থানীয় কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, সরকার লাখ লাখ টাকা দিয়ে ভূমি অফিস তৈরি করে দিলেও কাজে লাগছে না। সবসময় এই ভূমি অফিস তালাবদ্ধ থাকে। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত এই ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার কৃষক।
জালাল নামে অপর এক কৃষক বলেন, জেলা থেকে যেদিন বড় অফিসার আসে সেদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য অফিস খোলা থাকে, তবে কার্যক্রম বন্ধ থাকে। থানাহাট গিয়ে আমাদের জমির কাগজপত্র ঠিক করতে হয়, ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।
চিলমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) জগদীশ চন্দ্র বলেন, আমি নতুন এসেছি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, আমি ওই ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। সপ্তাহে হাটের দিন করে উপজেলায় কাজ করবেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। আর অন্যদিন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কার্যক্রম চলবে।
মন্তব্য করুন